, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আলমডাঙ্গায় কমলা চাষে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মেছের আলী, তিন বছরেও মেলেনি মাঠকর্মীর পরামর্শ

  • আপলোড সময় : ০২-১২-২০২৩ ০৮:১৮:১২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-১২-২০২৩ ০৮:১৮:১২ অপরাহ্ন
আলমডাঙ্গায় কমলা চাষে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মেছের আলী, তিন বছরেও মেলেনি মাঠকর্মীর পরামর্শ
স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রথম পর্যায়ে পাগল বললেও কমলা চাষে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আলমডাঙ্গার কাটাভাঙ্গা গ্রামের মেছের আলী ও তার চাচা আইয়ুব আলী।প্রথমে লিচু গাছের বাগান ছিল, কিন্তু স্বপ্ন ছিল আলমডাঙ্গার মাটিতে কিছু একটা করে তাক লাগিয়ে দেবেন সকলকেই। এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ভয়কে জয় করে ঝাপিয়ে পড়েন কমলা চাষে।
 
চুয়াডাঙ্গার, নীধিকুন্ডু থেকে ১৮০ পিচ কমলা গাছ নিয়ে প্রথম পর্যায়ে ২ বিঘা জমিতে কমলা বাগান শুরু করে। গাছ রোপনের শুরুতেই গ্রামের অনেক মানুষ তাদেরকে ভিবিন্নভাবে কটুক্তি করেছে, কমলা হলুদবর্নের হবে না বলে ভয় দেখিয়েছে, কেউ বা আবার পাগলও বলেছে, কিন্তু সেখানেই দমে যাননি। দিন বদলের সময়ে, নিজেকেও সময়ের সাথে বদলে ফেলেছে । এখন তার বাগানে গাছে - গাছে ঝুলছে হলুদ বর্ণের কমলা।
 
এভাবেই সারা ফেলেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদী ইউনিয়নের কাটাভাঙ্গা গ্রামের মেছের আলী ও তার চাচা আইয়ুব আলী। এখন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কমলা দেখার জন্য প্রতিদিনই অনেক মানুষ ভিড় জমাচ্ছে তাদের কমলা বাগানে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এমনই সাড়া ফেলানো কমলা বাগানের কোন তথ্য উপজেলা কৃষি অফিসের কাছে ছিল না।
 
এ বিষয়ে কাটাভাঙ্গা গ্রামের মেছের আলি বলেন, তিন বছর আগে ইউটিউব দেখে নিধিকুন্ডু থেকে ১৮০টি কমলা চারা নিয়ে এসে রোপন করি। গাছের বয়স তিন বছর হওয়ার পর ফল ধরার কথা ছিল। কিন্তু দুই বছরেই বাগানের অধিকাংশ গাছে ফল এসেছে এবং এবার সকল গাছে অধিক পরিমাণ কমলা ধরেছে। রং, স্বাদ—দুটোই ভালো, ফলনও অনেক বেশী।আলহামদুলিল্লাহ এখন আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। কিন্তু সব থেকে খারাপ লেগেছে আমার, কৃষি প্রধান দেশে তিন বছরের মদ্ধে কোন মাঠকর্মীর পা আমার বাগানে পড়েনি।
 
একজন কৃষক অনেক কিছুর সাথে চ্যালেঞ্জ করে চাষ করতে হয়। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া গরমের সময় বেশি গরম এবং শীতের সময় শীতও বেশি পড়ে। আর কৃষকরা অধিকাংশই লেখা পড়া জানে না। এ ক্ষেত্রে যদি মাঠ কর্মীরা কৃষকদের সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দেয় তাহলে কৃষকদের অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
 
আমার মনে শুধু একটা বিশ্বাসই ছিলো, আমার দেশের মাটি সোনার থেকেও খাটি, তাই এই মাটিতে আমি সোনা ফুলিয়ে ছাড়বো। শেষমেশ আল্লাহর রহমতে সফলও হয়েছি।পাশাপাশি বিষমুক্ত ফল বাজারজাত করে নিজের কাছেও ভালো লাগছে। এখন অনেকেই আমার দেখা দেখি কমলা চাষে আগ্রহী পোষন করছে।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস